জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি

প্রশ্নঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
উত্তরঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে কোনো জীব দেহ থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন আরেকটি জীবদেহে স্থানান্তরের কৌশল। জেনেটিকঞ্জি ইনিয়ারিং-কে জেনেটিক মডিফিকেশন (GM) ও বলা হয়।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? বিস্তারিত….
১৯৭২ সালে পল বার্গ কর্তৃক রিকম্বিনেট DNA টেকনোলজি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যাত্রা শুরু হয়।
কোষের নিউক্লিয়াসের মধ্যে বিশেষ কিছু পেঁচানো বস্তু থাকে, যাকে ক্রোমোজম বলে। ক্রোমোজম জীবের বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে। ক্রোমোজমের মধ্যে আবার চেইনের মতো পেঁচানো কিছু বস্তু থাকে যাকে DNA বলে। এই DNA অনেক অংশে বিভক্ত থাকে। এর একটি নির্দিষ্ট অংশকে বলে জিন। মূলতঃ ক্রোমোজমের অভ্যন্তরে অবস্থিত জিনই জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে। এক সেট পূর্ণাঙ্গ জিনকে জিনোম বলে। জিনোম হলো কোনো জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের তথ্য।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম তোষা পাটের জিনোম কোষ উদ্ভাবন করেন। জিন-এর সমন্বয়ে মানবদেহ গঠিত হয়। আবার মানবদেহে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম রয়েছে। এর মধ্যে ২২ জোড়া ছেলে মেয়ে প্রত্যেকেরই সমান ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজম। এর যে পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজনে কোনো জীবের জিনোমের মধ্যে নতুন জিন যোগ করে জিন বেশি ব্যবহার উপযোগী করা হয়, সেই পদ্ধতিকে জিন প্রকৌশল বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
প্রশ্নঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং আবিষ্কার করেন কে?
উত্তরঃ ১৯৭২ সালে পল বার্গ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং আবিষ্কার করেন।
প্রশ্নঃ মানবদেহে ক্রোমোজমের সংখ্যা কয়টি?
উত্তরঃ ২৩ জোড়া।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? সহজ ব্যাখ্যা
পরিক্ষাগারে বিজ্ঞানীরা জীবন্ত প্রাণীর DNA পরিবর্তন করার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করে তাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। আরো সহজভাবে বলতে গেলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো- কোনো প্রাণীতে কৃত্রিম DNA যোগ করার প্রক্রিয়া।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শাব্দিক অর্থ বংশগতির প্রযুক্তিবিদ্যা। বংশগতি সংক্রান্ত বিষয়ে আহরিত জ্ঞানকে মানুষের কল্যানে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিভাবে মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে
এর মাধ্যমে জীবজগৎ নতুন বৈশিষ্ট্য পেয়ে থাকে। উচ্চ ফলনশীল বীজ, সারা বছর সবজি, বিভিন্ন ধরনের ফল, মাছ প্রভৃতি উৎপাদনের সফলতার জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বাংলাদেশের সাফল্য
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বাংলাদেশের সর্বশেষ সাফল্য হলো পাটের জীবন রহস্য বা জিনোম সিকোয়েন্সের আবিষ্কার। ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত জিনতত্ত্ববিদ ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ বিজ্ঞানী পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেন। ড. মাকসুদুল আলম ইতোপূর্বে পেঁপের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেন।
প্রশ্নঃ পাটের জিনোম আবিষ্কার করেন কে?
উত্তরঃ ড. মাকসুদুল আলম।
আরও পড়ুনঃ ক্রায়োসার্জারি কি?