ICT

ন্যানো টেকনোলজি কি

প্রশ্নঃ ন্যানো টেকনোলজি কি?

উত্তরঃ যখন কোনো বস্তুর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অণুগুলোকে ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন করা হয়, সেই প্রযুক্তিকে ন্যানো টেকনোলজি বলে।

ন্যানো টেকনোলজি কি? বিস্তারিত…..

আধুনিক যুগে ন্যানোটেকনোলজিকে বলা হয় প্রযুক্তির বিষ্ময়। আমেরিকান পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যানকে ন্যানোটেকনোলজির জনক বলা হয়। ন্যানোটেকনোলজি বা ন্যানো প্রযুক্তিকে সংক্ষেপে ন্যানোটেক বলা হয়। ন্যানোটেকনোলজির মূল কথা হচ্ছে এতে সব কিছু তৈরি হবে ন্যানোস্কেলে। এটি প্রযুক্তির এমন একটি শাখা যেখানে ন্যানো স্কেলে বিভিন্ন পদার্থ তৈরি করে তা দিয়ে কাজ করা হয়।

সাধারণত এই ন্যানো স্কেলে হিসাব পরিচালনা করা হয় ১ ন্যানোমিটার থেকে ১০০ ন্যানোমিটারের মধ্যে।  ন্যানোটেকনোলজি-তে দৈঘ পরিমাপের একক হিসেবে ন্যানোমিটার ব্যবহার করা হয়। কোনো কিছুর একশ কোটি ভাগের এক ভাগকে ১ ন্যানো বলা হয়।

ন্যানোটেকনোলজি কীভাবে কাজ করে?

ন্যানোটেকনোলজির ক্ষেত্রে দুইটি পদ্ধতি চালু আছে। একটি হলো টপ টু বটম ও অপরটি হল বটম টু টপ। টপ টু বটম পদ্ধতিতে কোনো জিনিসকে কেটে ছোট ছোট করে তাকে নির্দিষ্ট আকার দেওয়া হয়। আর বটম টু টপ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে ছোট বস্তু কণা দিয়ে বড় কোন জিনিস তৈরি করা হয়। ন্যানোটেকনোলজি হলো বটম টু টপ প্রযুক্তি।

অর্থাৎ এ প্রযুক্তিতে ন্যানোমিটার স্কেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি করা যযন্ত্রপাতিকে বুঝায়। কম্পিউটারের ভিতরে যে প্রসেসর আছে, তা অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ন্যানোমিটার স্কেলের সার্কিট। এর ফলে প্রতিনিয়ত প্রসেসর আকৃতি কমে যাচ্ছে কিন্তু ক্ষমতা বাড়ছে কয়েক গুণ করে।

ইন্টেল প্রসেসরে সিলিকন-এর উপর প্যাটার্ন করে যে সার্কিট বানানো হয়, তার বর্তমান আকৃতি হলো ১০০ ন্যানোমিটার। আগামী ৩ বছরে এর আকার হবে ৭০ ন্যানোমিটার। পরবর্তী ৭ বছরে এর আকার হবে ৫০ ন্যানোমিটার। কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের তথ্য সংরক্ষণের ক্ষমতাও দিন দিন বাড়ছে। এ হার্ডডিস্কেও ব্যবহৃত হচ্ছে ন্যানোটেকনোলজি। এ ধরণের প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে বাজারে ১ টেরাবাইটের হার্ডডিস্ক পাওয়া যাচ্ছে।

ন্যানো টেকনোলজি কি? সহজ ব্যাখ্যা

ন্যানোটেকনোলজি হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তু দিয়ে বড় ডিভাইস তৈরি করার প্রযুক্তি। ন্যানোটেকনোলজির সাহায্যে কোন জিনিসকে ছোট থেকে বড় এবং বড় থেকে ছোট আকার দেয়া যায়। ন্যানো প্রযুক্তির ফলে কোনো উপকরণকে এতোটাই ক্ষুদ্র করে তৈরি করা যায় যে, এর থেকে ক্ষুদ্র করা সম্ভব নয়।

ন্যানোমিটারের সঠিক ধারণা পেতে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন একটি চুল ১ লক্ষ ন্যানোমিটার মোটা বা প্রস্থ। অর্থাৎ ১ ন্যানোমিটার সমান কত তা বের করতে একটা চুলকে ১ লক্ষ ভাগ করতে হবে। ন্যানোমিটার একটাই ক্ষুদ্র যে, সবচেয়ে ছোট ব্যাকটেরিয়াকে ও ন্যানোমিটারে প্রকাশ করা সম্ভব। সবচেয়ে ছোট ব্যাকটেরিয়ার আকার ২০০ ন্যানোমিটার।

আরও পড়ুনঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button